ওমানের দেওয়া ১০৯ রান তাড়ায় নেমে সেখানেই থামে নামিবিয়া। তাতে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। আর সেখানের রোমাঞ্চকর লড়াইটা শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় নামিবিয়া।

মাত্র ১১০ রানের লক্ষ্য। কাজটা সহজই মনে হয়েছিল নামিবিয়ার জন্য। কিন্তু তাদের ইনিংস যত এগিয়েছে, ততই ভর করেছে শঙ্কা। শেষ ওভারে মাহেরান খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য। টাই হয়ে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ডেভিড ওয়াইজের অলরাউন্ড নৈপুন্যে সেখানে অবশ্য সহজেই জয় পায় নামিবিয়া।

আগে ব্যাটে নেমে আজ ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে পড়ে ওমান। প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট তুলে নেন ট্রাম্পেলান। এই ঝকি সামলে উঠতে না উঠতেই তৃতীয় ওভারে আবারো উইকেট হারায় ওমান। এবারো উইকেট নেন সেই ট্রাম্পেলান।

এরপর ২৭ রানের একটি জুটি গড়েন জিশান ও খালিদ কাইল। ২২ রান করা জিসানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ডেভিড উইসি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে আরও ৩১ রান। এরপর আর কোনো জুটিই বড় হয়নি।

খালিদ ৩৯ বলে ৩৪ রান করে ফিরলে ওমানের বড় সংগ্রহের পথও বন্ধ হয়ে যায়। শেষদিকে শাকিল আহমেদের ১১ রানে ভর করে ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৯ রান তুলে অলআউট হয় ওমান।

ট্রাম্পেলিন ২১ রানে চার উইকেট আর উইসি ২৮ রানে নেন তিনটি উইকেট।

নামিবিয়ার সামনে লক্ষ্য ছোট ছিল। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেই লক্ষ্যই কঠিন করে তোলে ওমানের বোলাররা। ওপেনার মাইকেল ভেনকে প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ দেখান বিলাল খান। এরপর জুটি গড়েন নিকোলাস ডাভিন ও জন ফ্রাইলিংক।

এই জুটি ভাঙে নবম ওভারে। তবে দীর্ঘ সময় ব্যাট করেও রানের চাকা সচল রাখতে পারেননি দুজন। ডাভিন ৩১ বলে ২৪ রান করে ফেরার সময় নামিবিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪২। অধিনায়ক এরাসমাস ১৬ বলে করেন ১৩ রান। জেজ স্মিট ১২ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন ফ্রাইলিংক।

শেষ ৩ ওভারে নামিবিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। শেষ ওভারে এই সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ৫ রানের। মেহরান খান প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় বল দেন ডট। তৃতীয় বলে আবার উইকেট। চতুর্থ বলে আসে ২ রান। শেষ বলে দরকার চিল ২ রানের। তবে ক্রুগার এক নিতে সক্ষম হন ওমানের উইকেটকিপারের ভুলে। তাতে ম্যাচ টাই হয়, গড়ায় সুপারওভারে।